অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৪ এএম

অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণের একদিনের মাথায় এ পণ্যের আমদানি পর্যায়ে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপরিশোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

মঙ্গলবার এক বিশেষ আদেশে আগাম কর প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। তবে আদেশটি আজ বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।

এনবিআরের প্রথম সচিব (মুসক নীতি) মোহা. মসিউর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।

মঙ্গলবার প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ঠিক হয়েছে ১৮৯ টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলের সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন লিটারপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭৫ টাকা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের নতুন দর ঘোষণা করে বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজার ও ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলার ভিত্তিতে সয়াবিন তেলের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছি।

রোজার আগে দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের শুল্ক-করে যে রেয়াত দিয়েছিল, তার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়।

রোজাকে সামনে রেখে গত ডিসেম্বরে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সয়াবিনের সঙ্গে সব ধরনের পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল।

আগের মতই সব ভোজ্যতেলে ভ্যাট ৫ শতাংশ রাখার সময় ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করেছিল এনবিআর।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ভোজ্যতেলের কর অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন ১ এপ্রিল থেকে প্রস্তাবিত বাড়তি দর কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর