যুবলীগ নেতার ব্যবসা দেখভাল করেন যুবদল নেতা

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিখিলের ব্যবসা পরিচালনা করছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করে বোরাক পরিবহন। এই পরিবহনের পরিচালক মতলব উপজেলা যুবলীগ নেতা ফেরদৌস। বোরাক পরিবহনের মালিক যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিখিলের আত্মীয় ফেরদৌস। ৫ আগস্টের আগে বোরাক পরিবহন নিখিলের নামে চলতো।
দাউদকান্দি এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় যুবদল নেতা সাহাবুদ্দিনের ছত্রছায়ায় ফেরদৌস এই বোরাক পরিবহন পরিচালনা করছে। বিআরটিসির বাস মান ভালোভাবে ধরে রাখলেও এই বোরাক পরিবহনের চালুর কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়ে গেলেও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের দায়িত্ব নিয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি শাহাবুদ্দিন। অনুসন্ধানে জানা যায়, নিখিলের ভাগিনা ফেরদৌসের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মাইনুদ্দিনের। সেই সূত্রেই ভিপি শাহাবুদ্দিন নিখিলের পরিবহন ব্যবসার দায়িত্ব নিয়েছেন। জানা গেছে, এখান থেকে মাসিক লভ্যাংশ পাঠিয়ে দেয়া হয় মাইনুল হোসেন নিখিলের কাছে।
সূত্রে জানা গেছে, বোরাক পরিবহন অবৈধভাবে মহাসড়কে চলাচল করছে। নিখিল তার ক্ষমতা ব্যবহার করে পরিবহনটি চালিয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরও যুবদল নেতা শাহাবুদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চলছে এই বোরাক পরিবহন। যদিও এটি চলাচলের কোনো অনুমতি নেই ।
গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের একজন কর্মচারী জানান, নাম প্রকাশের কারণে কুখ্যাত সন্ত্রাসী শামীম ওসমানের শান্তি পরিবহনের গাড়িগুলো অন্যান্য রোডে চলাচল করতে পারছে না। এ কারণে মোড়ক পরিবর্তন করে বোরাক নামে দাউদকান্দি থেকে গুলিস্তান রোডে অবৈধভাবে বাসগুলো চলাচল করছে।
মো. কাউসার মোল্লা দাউদকান্দি থানায় অভিযোগ করে বলেন, গুলিস্তান এবং গৌরীপুর প্রান্তে ব্যক্তিমালিকাধীন অবৈধ রুট পারমিটবিহীন বাস পরিচালনা করায় বিআরটিসি বাস চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। কিছু অবৈধ ব্যবসায়ী এসব কাজ করছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রুট পারমিটবিহীন বোরাক পরিবহন অবৈধভাবে ঢাকা থেকে গৌরীপুর রোডে চলাচল করছে । এ বিষয়ে আমরা অতিরিক্ত আইজিপিকে (হাইওয়ে) জানিয়েছি।
যুবলীগ নেতার পরিবহন চলাচল আপনার নিয়ন্ত্রণে চলছে, এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি শাহাবুদ্দিন বলেন, এগুলো মিথ্যা কথা। যুবলীগের কারো সাথে আমার সম্পর্ক নেই।
কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ইনচার্জ রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, ঢাকা থেকে এই পরিবহন চলাচল করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ অভিযান পরিচালনা করলে আমরা সহায়তা করবো। রুট পারমিট ছাড়া কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: