চোরাই মটরসাইকেল সিন্ডিকেট হোতা বিদ্যুৎ এখন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে করছেন চাদা বাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৫ ১৯:০৬ পিএম

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :মুন্সীগঞ্জের ছয়টি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদ্মাসেতুর লৌহজং উপজেলা, এখানে ছিলো শিমুলিয়া ফেরিঘাট ছিলো যশের বেনাপুল ইন্ডিয়ার বডার থেকে কাগজ বিহিন মটরবাইক যা পাচার হতো এ ঘাট দিয়েই ঢ়াকা মুখি।

আজ সেতু হওয়ায় সহজ পথ হয়েছে যাতায়াতে, সে সময় মটর বাইক ফেরি দিয়ে পাড়াপাড় করতে হিমশিম পুহাতে হতো তাদের এতে পুলিশের জালে আটক যব্দ ধরা পরার ঘটনাও ছিল প্রায় তবুও মোটরসাইকেল চোর চক্রটি নানা কৌশল ব্যবহার করে প্রথমে মাওয়া হয়ে ঢুকে পরতেন বিভিন্ন গ্রামে, রাজনৈতিক পেক্ষাপটে তেমন সুবিধা করতে পাড়েননি শ্রীনগরে চোরাই  সিন্ডিকেট হোতা বিদ্যুৎ ধিরে ধিরে ধমকে যায়  তার ব্যবসা যার ফলে নেমে পড়েন ভিন্ন পেশায় । বিদ্যুৎ এখন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে করছেন চাদা বাজি এ বিষয়ে তার ভিডিও ডকুমেন্ট তৈরী রয়েছে ৪টি,এ প্রতিবেদকের হাতে। উদাহরনে উঠে আসে গেল রমজান মাসে রাতের আধারে শ্রীনগর বাজারে ব্রিজের নিচে ময়লা ফেলার কেন্দ্র করে চাদা দাবী, সে সময় পুলিশ পরিচয়ে দিন মজুরদের "শাসান তিনি এমন একটি ভিডিও সামিাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়ার পর টনক নড়ে শ্রীনগর বাসির ।  এ ছাড়াও  গেল ফেব্রয়ারীতে নগরীর আড়িয়াল বিলের গাদিঘাট নির্জন এলাকায় সামির নামের এক যুবককে মাওয়া থেকে খবর দিয়ে এনে অন্ধকার রুমে ৪ঘন্টা আটকিয়ে রেখে নিম্মম ভাবে অত্যাচার করে ওই সময় তার কাছ থেকে বিকাশ মাধ্যম ত্রিশ হাজার টাকা এবং একটি আইফোন এলিভেন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে। মোটর সাইকেল চোর আখ্যায়িত করে সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটার দিকে  ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।
 
আটক করা সেই মোটরসাইকেল টি ১৫ দিন পরে দ্বিতীয় পক্ষের কাছে বিক্রয় করেন  এই  চোর চক্রের সিন্ডিকেটের হোতা বিদ্যুৎ ।
শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের এক কিশোরের কাছে ৫০ হাজার টাকায়। বিক্রির ১০ দিন পর মোটর বাইক টি সড়ক দুর্ঘটনা হলে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হন ওই  শ্যামসিদ্ধি ওই চালক, এমন সংবাদের ভিক্তিতে সেখানে চোর চক্রের মূল হুতা শ্রীনগর বাড়ৈগাও মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত্যূ সিরাজুল শেখেরপুত্র এই-তাজুল-বিদুৎ (২৮) নিজে ও চক্রের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরকে হাসপাতালের বেট থেকে বাইরে দেউলভোগ এলাকায় ডেকে এনে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কিশোরের পরিবারের নিকট মোটরসাইকেল চোর আখ্যায়িত করে ২লক্ষ টাকা দাবি করেন।
সে সেখান ও নানা ভাবে ভয় ভীত, দেখিয়ে বিচার সালিশ করে হাতিয়ে নেওয়া হয় দূই ভাগে ৮০ হাজার টাকা,চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়ের অপরাধে। একই সাথে আদায় করা হয় বিক্রি করা মোটর সাইকেল টি ও ।
 
শ্রীনগর বাড়ৈগাও বাজার মোল্লা পাড়া এলাকায়, বেনু আকতার নামের এক বিধবার চেক জালিয়াতি করে ১ লাখ বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা থেকে লাপাত্তা হন। ঘটনার ২মাস পড় "একই গ্রামের বাসিন্দার থেকে" ডিজিটাল পাসপোট করে দেয়ার কথা বলে, মিস আইরিনের থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেন তিনি।
সে দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম ঘটনার জাল পাতার নেটওয়ার্ক তৈরী করেন,বাড়ৈগাও বাজার তোহা প্লাজায় তার নিজ কম্পিউটার দোকান থেকে। গেল ৬মাসে এই কম্পিউটার দোকানে বশে জাল জমি,জাল কাগজপত্র সহ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বানিয়ে থাকেন বলে শত বার তার দোকানে ঝামেলা হয়েছে অনেকের। গেল ২৪ শালের প্রথম দিকে এক স্কুল ছাত্রির ছবি তোলে ব্লাকমেইল করে গন ধোলাইয়ের শিকার হন এই বিদ্যুৎ ।
কাতার প্রবাসী,বেজগাও এলাকার হান্নান নামের এক ব্যক্তির থেকে তার মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের ছবি রয়েছে তার কাছে,এ ছবি ভাইরালের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ৭০হাজার টাকা
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এ বিষয় ও লজ্জার কথা চিন্তা করে আজ প্রবাসী স্টক করে তার দুটি চোখ হাড়িয়ে ফেলেছেন।
শ্রীনগর থানা পুলিশ সূত্র বলছে গেল এক বছরে ৭৫টি মটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয় -চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা রয়েছে এই চোর চক্রের হুতার বিরুদ্ধে,তবে, কেউ না কেউ তাদের সেল্টার দিচ্ছে,চক্রের সদস্য কাউকে আটক করে জেলে পাঠালেও  ৪/৫ দিরনর মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসেন রাজনৈতিক নেত্রিত্য়ে রয়েছে বলে। শ্রীনগর থানা ওসি তদন্ত মোঃ আমিনুল ইসলাম, আরো বলেন , তাজুল ইসলাম বিদ্যুতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি কেউ অভিযোগ করলে বেবস্থা নেয়া হবে।
 
বাড়ৈগাও বাজারের কামাল হোসেন জানান, বিদ্যুৎ মিয়ার নামে মাত্র, কম্পিউটার দোকান যার আড়ালে অনেক বছর ধরে করে আসছেন নানা অপকর্ম মাদক সহ গোপন ব্যবসা, গেল ঈদের দিন রাতে ১২পিস ইয়াবা টেবলেট বিক্রির সময় ২জন মাদক ক্রেতা কে সড়কের উপর জোরপূর্বক মারধর করে তাদের থেকে নগদ ৯ হাজার টাকা একটি স্বর্ণের আংটি নিয়ে পালিয়ে যায় অনেক খোজার পরেও বিদ্যুতের খোজ পাওয়া যায়নি সেদিন।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার এবিষয়ে কথা হয় বিদ্যুতের স্ত্রী কেয়টখালি গ্রামের- নাম মাত্র কবির মিয়ার-মেয়ে শোভার,সাথে তিনি বলেন,আমার ৫বছর সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে এর পরেও আমার স্বামী বিদৎু শ্রীনগরের হাসার গাও গ্রামে, ৪০বছর বয়সি নিলা আকতারের সাথে দেড় বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে আসছে, সংসারে ঠিক মতো আমাকে ও সন্তান দের  ভরন পোষন দিচ্ছেন না। প্রতিনিয়ত যৌতুকের দাবিতে মারধর করেন, সন্তান দের কথা চিন্তা করে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে টিকে আছি সংসার নিয়ে, সন্তান না থাকলে বহু আগেই চলে যেতাম।
 
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাসির উদ্দিন জুয়েল বলেন, সিরাজুলের ছেলে তাজুল ইসলাম বিদুৎ এক জন প্রতারক সে আমাদের সাংবাদিক পরিচিত কেউনা এই নামের কোন সাংবাদিক নেই, ভূয়া ডিবি পরিচয় দানকারী তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ রয়েছে ইদানিং সময়ে লৌজংয়ের, সাবেক সময় টিভির এক সিনিয়র সাংবাদিকের ছবি এডিট করে ফেইজবুকে আপলোড করে তার সম্মান হানি ,এ ছাড়াও শ্রীনগরের এক সিনিয়র সাংবাদিকের ছবি এডিট করে গুজব ছরাচ্ছে এ বিষয়ে তার বিরোদ্ধে শুনেছি মামলা হয়েছে মুন্সীগঞ্জ,এছাড়াও অনেকের ছবি এডিট করে মিথ্যা গুজব ছরাচ্ছে এর আগেও ছড়িয়েছে ,প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর কামনা করছি দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এখানে "তার বিষয়ের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন"
 
শ্রীনগর এক ভুক্তভুগি বলেন, থানা গেটের সামনে পুলিশের পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে আজ ৪/৫ মাস। এই ধরনের কার্যকলাপ বে আইনি এবং এটি কঠোরভাবে দমন করা উচিত। ভুক্তভোগীদের উচিত অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা। এই ধরনের ঘটনা একটি গুরুতর সমস্যা যা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়। এই ধরনের কাজের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
 
বাড়ৈগাও হাইস্কুলের বাল্যবন্ধু নাছির হোসেন বলেন, আমরা এক সাথে পড়াশুনা করেছি আগে অনেক ভালো ছিল বিদ্যুৎ - ৫/৬ মাস হয় আমাদের সাথে সব বিষয়ের রুখ্য আচরন চালাচ্ছে এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলে মুহূর্তে বলে উঠে আমি সাংবাদিক বিষয়টি আমাকে দেখতে দাও এক হাজার টাকার নতুন জাল নোট ছাপানোর প্রিন্টার রয়েছে তার কাছে, ৪০হাজার টাকা কালি কিনার জন্য ধার চেয়েছে তা না দেয়ায়,আমাকে ফেন্সি মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে বহু বার হুমকি দিয়েছে, আমি এ বিষয়ে তার বড় ভাই ইকবাল এর গ্রিল ওয়ার্কশপ এর দোকানে গিয়েছি তাকে পাইনি ।
তার আপন ভাই, রাসেল বিদেশে থাকেন বলে, সব সময় টাকার গরম দেখায়, বিদ্যুৎ আরেক ভাই ফয়শাল কে  তার বিষয়ে বল্লে বা আলোচনা করতে চাইলে, তার দায়িত্ব নেবেন না বলে এরিয়ে গেছেন সেই ভাইও । এ বিষয়ে, বিদ্যুৎতের - চাচা খোকন শেখ, সেলিম শেখ, ও আবু শেখ - জানান, আমাদের সাবেক বাড়ি পশ্চিম পাড়া, সেখানে এই  বিদ্যুৎ  নানা অপকর্ম চালিছে কারণে আজ আমাদের বাব দাদার ভিটা বাড়ি ছেড়ে মোল্লাপাড়া নতুন বাড়ি করে থাকতে হচেছ, ওর দায়িত্ব আমরা নিয়ে বিপদে পরতে চাইনা। তার কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ, পুলিশ কে খবর দিয়ে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।সঠিক বিচার হলে এলাকা বাশি শস্থি পেত।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর