চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট ২০২৫ ২২:০৮ পিএম

চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

মো. মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এসময় দ্রুত সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় আনা সহ নিরাপদ ক্যাম্পাসের জোর দাবি জানান বক্তারা। 
 
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসনের জবাব চাই;  চবিতে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে; প্রশাসনের প্রহসন, মানি না, মানব না; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। 
 
শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় প্রশাসনের ভূমিকা কী এবং রাতের ঘটনা দিনে এসে দফায় দফায় হলো কেন? হামলার সময় প্রশাসন কোথায় ছিল? প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কী নিরাপত্তা দিয়েছে? এই ব্যর্থতার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেমন এড়াতে পারে না ঠিক ইন্টেরিম গভর্মেন্টও এড়াতে পারে না। অথচ নুরের যৌক্তিক আন্দোলনে একশনে নিতে পারলেও শিক্ষার্থীদের বেলায় চুপ ছিল কেন। উপদেষ্টা বলছে, স্থানীয়দের বাঁধায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌঁছাতে পারেননি, তবে প্রশ্ন হচ্ছে— আপনারা কেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গঠন করেছেন, যারা? ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করে বিচার করুন। যদি বিচার না হয় আরেকবার আগস্ট হবে এবং রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।
 
জুলাইযোদ্ধা ও সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই শক্তিদের ওপর হামলা করা ট্রেন্ড চালু হয়ে গেছে। অথচ জুলাই পরবর্তী সময়ে পুলিশ, বাহিনী ও অন্যান্য সেক্টরে সংস্কার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ ঘটনা প্রমাণিত হয় যে, চট্টগ্রামের প্রশাসন রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে যদি সুরাহা করতে না পারে ইন্টেরিম গভর্মেন্ট চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত।  এদের পরিচয় স্থানীয় না, এরা সন্ত্রাসী।’
 
ইবি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান করে তিনি জানান, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। আপনারা যদি রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ক্যাম্পাসের আশেপাশে যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিতে আসা যাওয়া করে তার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যা হতে পারে রকমারি দোকান।’

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর