জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ইবিতে ছাত্রদলের স্মরনসভা

শনিবার (৩০ আগস্ট) ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি করিডোরে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালন করেন সংগঠনটি সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন।

 

সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, ইবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, জিয়া পরিষদ ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান।

 

এসময় আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘৫ আগস্টের পরবর্তী আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের কোনো ভুল হলে শুধরে দিবেন। আমাদের কোনো কর্মী চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মব সৃষ্টি ও হল দখলে জড়িত না। আমাদের শিক্ষকরা যে শিক্ষা দেন সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি আমরা। গতকাল নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জাপা সহ অতিউৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত বিচার করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া আমাদের ক্যাম্পাসের মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার ঘটনায় যে দলই জড়িত থাকুক তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।’

 

জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ১৭ বছর ধরে যে ফ্যাসিজম জগদ্দল পাথর আমাদের ওপর ছিল সেটা সরিয়ে নিয়েছে এই ছাত্র সমাজ। এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তার পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাসটা বিরল। যে সময়টুকু পেয়েছে তার নিকট আত্মীয়দের কাছে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। সে এমন একজন আওয়ামী নেতা যে নিজের কথা চিন্তা করে এবং কর্মীদের কথা ভাবে না। তাকে আমি ঘৃণা করি। তার পিছনে যে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী রয়েছে তাদের কথা সে চিন্তা করেনি। তাদের কী হবে যা এখন হচ্ছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ যা একই কাজ শেখ মুজিবও ঘটিয়েছেন।

 বিএনপি এই রাজনীতি করে না। বরং বিএনপি প্রতিটি ছাত্রদলের কর্মীকে নিজেদের সন্তান মনে করে। বিএনপি তাদের নিজেদের আদর্শে চলে, এবং তাদের কৃতিত্ব ভাগ নিতে চান না। দল চিন্তা করে যে, বিএনপির যে অবদান সেটা জনগণ বিচার করবে। এটাই বিএনপির বড় আদর্শ।