ভাড়া নিয়ে তর্ক, 'জনি' পরিবহনের সহযোগীর বিরুদ্ধে ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত:
১৫ জুলাই ২০২৫ ২২:০৭ পিএম

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি: বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে বাক বিতন্ডার জেরে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে মারধর ও হেনস্তা করেছে বাস সহকারী। এ নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে পাঁচটি বাস আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাস ফেরার পথে জনি পরিবহনের একটি বাসে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিচার দাবিতে রুপসা পরিবহনের চারটি ও জনি পরিবহনের একটি বাস ক্যাম্পাসের মধ্যে আটকে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, চৌরহাস বাস স্ট্যান্ডে 'জনি' বাসের হেলপার একটা মেয়ের ফোন কেড়ে নিয়ে ওর গায়ে হাত দিয়েছে। ওখানে অনেকেই ছিল কিন্তু আমি ছাড়া কেউ কিছু বলেনি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, 'জনি' বাসে ওঠার সময় আমি ভাড়া ২৫ টাকা বলে উঠি। বাসে ওঠার পর আমার থেকে ৪০ টাকা নেওয়া হয়। আমি ২৫ টাকা বলার পর হেলপার আমাকে 'অশিক্ষিত মহিলা' বলে গালিগালাজ করে। আমার শিক্ষা নিয়ে কথা বলায় তর্কের এক পর্যায়ে আমি আমার স্বামীকে ফোন দিতে মোবাইল বের করি। কিন্তু তিনি আমার ফোন কেড়ে নেয়, এতে আমার হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে আমি তার কলার ধরায় সে আমার মুখে ঘুসি মারে। আমার বাবা মাকে নিয়ে গালিগালাজ করে, এমনকি আমার ভিডিও করে নিয়ে যায়। ওখানে অনেক মানুষ ছিল কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি।
ভুক্তভোগী আরও জানান, ওই ব্যক্তি আসবে এবং পরিবহনে ওনাদের নামে মানহানি করবো। নারী নির্যাতন মামলা করবো। অবশ্যই এর বিচার হতে হবে। বিচার না হলে আমি এখান থেকে যাবো না।
দুপুরে প্রধান ফটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলামের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের সহপাঠীর সঙ্গে করা অন্যায়ের বিচার চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত না ওই বাস হেলপারের শাস্তি হবে ততক্ষণ আমরা এই বাস ছাড়বো না।
লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, একজন নারী শিক্ষার্থী সাথে কিভাবে আচরণ করতে হয় এই স্বাধীন বাংলাদেশে তারা শিখে নাই। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই মেয়ে শিক্ষার্থী শুধু আমার ডিপার্টমেন্টের নয় সে পুরো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।
জনি পরিবহনের বাস মালিক আনিস মিয়া বলেন, ‘প্রক্টর স্যার থেকে বিষয়টি অবগত হয়েছি। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বাস মালিক সমিতিকে অবগত করেছি। তারা প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, মালিক সমিতি ও বাস মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি পাঠাবে। তারপর সবাই বসে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: