তাওহিদের সাহসী ব্যাটিংয়ের পরও হারল বাংলাদেশ
তাওহিদ হৃদয় চেষ্টার কোনো কমতি রাখলেন না। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে একাই লড়াই করলেন। অপরাজিত থেকে গেলেন ৮৩ রানের দুর্বার এক ইনিংস খেলে। তবে বাংলাদেশকে জয় উপহার দিতে পারলেন না। তাই তো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা সিরিজটা শুরু করল হার দিয়ে। আয়ারল্যান্ডের কাছে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকরা ধরাশায়ী হলো ৩৯ রানে। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪২ রানে। এ হারে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে পিছ
শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮ রান তুলতেই খুইয়ে ফেলে তারা ৪ উইকেট। দলীয় ৭৪ রানে স্বাগতিকরা হারায় অষ্টম উইকেট। মাঝে জাকের আলীর ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। আর শরিফুল ইসলাম যোগ করেন ১২ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। সন্তুষ্ট থেকে যান সিঙ্গেল ডিজিটে।
আইরিশদের দাপুটে বোলিংয়ের দিনে ম্যাথু হামফ্রেস ১৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ব্যারি ম্যাককার্থি ৩টি আর মার্ক অ্যাডাইয়ার পান দুটি উইকেট।
তার আগে দুরন্ত ব্যাটিংয়ে রান ফোয়ারা ছোটায় আয়ারল্যান্ড। হ্যারি টেক্টরের দারুণ এক হাফসেঞ্চুরিতে ৪ উইকেট হারিয়ে অতিথিরা গড়েছে ১৮১ রানের বড় পুঁজি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটা আইরিশদের রেকর্ড সংগ্রহ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮২।
অধিনায়ক পল স্টারলিং যখন সাজঘরে ফেরেন, আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৪০। ফেরার আগে স্টারলিং দলীয় স্কোরে যোগ করেন ২১ রান। এই সুযোগে ওয়ানডাউনে নেমেই দলের ব্যাটিং লাইন-আপের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর। ওপেনার স্টারলিংয়ের পর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান টিম টেক্টর সাজঘরে ফিরলেও ব্যাট হাতে বাংলাদেশের বোলাদের মেরে খেলতে থাকেন হ্যারি। ৩২ রান এনে দিয়ে উইকেট থেকে বিদায় টিম। তবে ৪৫ বলে ৬৯ রানের দুর্বার এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে যান হ্যারি। তার দাপুটে ইনিংসে ছিল ১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কা। আর কার্টিস ক্যাম্ফারের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড: ১৮১/৪, ২০ ওভার (হ্যারি টেক্টর ৬৯*, টিম টেক্টর ৩২, ক্যাম্ফার ২৪, স্টারলিং ২১; তানজিম ২/৪১, রিশাদ ১/৩৪, শরিফুল ১/৪২)।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: