দুদকের জালে শুভেচ্ছাদূত সাকিব আল হাসান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক শুভেচ্ছাদূত ও পতিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের (অর্থ পাচার) অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে বলে আমার দেশকে জানিয়েছেন কমিশনের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, গত ৯ এপ্রিল দুদকের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলমকে প্রধান করে সাকিব আল হাসানের দুর্নীতির অনুসন্ধান বিষয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ দলে কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমানও রয়েছে।
ইতোমধ্যে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে সাকিব আল হাসানের বিষয়ে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাই শেষে অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের একজন উপ-পরিচালক।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করা হবে।
দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি করে দুদক। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের পর সাকিব আল হাসান বিদেশে অবস্থান করছেন। এর আগে দুদক তার সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক কর্মকর্তা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: