‘ভারত এখনও মেনে নেয়নি ৫ আগস্টের পরিবর্তন’

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:০৪ এএম

ভারত এখনও ৫ আগস্টের পরিবর্তন মেনে নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, কিন্তু মনে হচ্ছিলো (প্রধান উপদেষ্টার সাথে) বৈঠক ঘিরে বরফ গলতে শুরু করেছে। কিন্তু ভারতে ট্রান্সশিপমেন্টের যেটুকু সুযোগ ছিল সেটাকে এক তরফা বাতিল করার মধ্য দিয়ে ভারত জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সাউথ ব্লক বাংলাদেশ বিদ্বেষী মনোভাব এখনও তারা পরিবর্তন করেনি। যদি সেটা না হত

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, সাম্যের কথা বলছেন, ১৫-১৬ টা কমিশন হয়েছে, আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলেছি, কমিশনে যখনই আমাদের দেখা হয়েছে, কমিশনে যখনই আমাদের বক্তব্য জমা দিতে গেছি তখন বলেছি এতগুলা কমিশন করলেন কিন্তু যে সাম্য নিয়ে এত কথা বলছেন পাকিস্তানের মত এক দেশে দুই সমাজ, দুই অর্থনীতি, অসাম্য দূর করার জন্য কার্যত কোন কমিশন গঠন করেননি।

এসময় তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত একটা ধনী গরিবের পার্থক্য তৈরি করছেন। সমাজকে ভাগ করে ফেলছেন। ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ একদিকে আর ১০-১৫ ভাগ মানুষ একদিকে। এই ব্যবস্থার প্রধান সমস্যা এড্রেস না করে যতই পরিবর্তন করতে চান কোন সংস্কার টেকসই হবে না।

আমার নারীরা ঢাকা শহর সহ সারা দেশে কোন পোষাকে থাকবেন, প্রশ্ন উঠছে, ট্রল হচ্ছে, এগুলা সমাজের মধ্যে চিন্তা, আদর্শ, সংস্কৃতি মনোজগতের মধ্যে একটা ডানপন্থা যোদ্ধা, দক্ষিণ পন্থা যোদ্ধা এগুলা তার একটা সিম্বলিক বহিঃপ্রকাশ। কাল আসবে, কাল না হয় পরশু একটা বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে আসবে। এটা একাডেমিক কোন আলোচনা না, একেবারে কঠিন বাস্তবতার আলোচনা।

এর আগে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা ৫ আগস্টের পরে থেকে আমরা কী সেগুলো দেখতে পাচ্ছি? বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো আবার সাধারণ ছাত্রদের নামে করা হচ্ছে। সেটা যে কতটা সাধারণ ছাত্র আর কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেটা নিয়ে পরিষ্কার আলোচনা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলের মধ্যে যাচ্ছে। কাজেই স্বপ্নভঙ কিন্তু আবারও শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, জনগণকে যদি ঐক্যবদ্ধ না করা যায় তাহলে সত্যিকার অর্থে সংস্কার বলতে নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা যদি খাতাপত্রের আইনি পরিবর্তন না বুঝি বাস্তব জীবনে যদি তার প্রতিফলন দেখতে চাই তাহলে যে শক্তিবিন্যাস তৈরি হচ্ছে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল একদল দখল করে, আরেক দলকে দেখি হাট-ঘাট দখল করতে। এটা বদলাতে আমাদের জনগণের ঐক্য সামনে আনতে হবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ পাহাদারই এই অবস্থার বদল ঘটাবে। আমাদের জনগণকে ক্রমাগত ক্ষমতাহীন করে ফেলা হয়েছে। জনগণ ব্যাপারটাই যেন নেই পুরো সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে। এটা বাংলাদেশের এখনকার বাস্তবতা।

সাকি বলেন, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য। যারা বাইপাস করে অন্যকিছু করতে চাইবে তারা অভ্যুত্থানকে বিপর্যস্ত করবে। ফলে পরিষ্কার, আমাদের সংস্কার লাগবে আমাদের নির্বাচন লাগবে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর