পাইকগাছায় ২৩ বছরেও হয়নি যুবদলের ১০ ইউনিয়ন কমিটি, দুর্বল সাংগঠনিক কাঠামো

২০০২ সালের পর থেকে পাইকগাছায় ইউনিয়ন ভিত্তিক যুবদলের কার্যক্রম ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। এরপর একাধিকবার কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায় থেকে কমিটি গঠনের নির্দেশনা এলেও বাস্তবে হয়নি কোনো অগ্রগতি।

 

স্থানীয় নেতারা বলছেন, পুরনো নেতৃত্বে আস্থাহীনতা এবং তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক চর্চার ঘাটতির কারণেই কমিটি গঠনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে সংগঠনটি।

 

উপজেলা যুবদলের ৩৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কোন ইউনিয়নে একটি পরিচিতি সভাও করতে পারেনি বলে নেতা-কর্মীদের অভিযোগ। 

 

জানা যায়,২০০২ সালে সফল সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের কমিটি গঠিত হয়। যার   সভাপতি ছিলেন প্রয়াত আমজাদ হোসেন গোলদার সাধারণ সম্পাদক বেনজির আহমেদ লাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমাদুল ইসলাম। 

 

তাদের নেতৃত্বে  উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ওই সময়  কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। কেউ চলে গেছে মুল দলে। কেউ চলে গেছে আওয়ামীলীগে। কেউ রয়েছে রাজনীতির বাইরে। 

 

কমিটিতে ছিলেন হরিঢালী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাফাওয়েত হোসেন। কপিলমুনি ইউনিয়নে সভাপতি মোঃ আযাদ মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আযাদ বিশ্বাস। লতা ইউনিয়নে সভাপতি  চিত্তরঞ্জন রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম সরদার। দেলুটি ইউনিয়ন সভাপতি  মোঃ মোকিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার গাইন।সোলাদানা ইউনিয়নে সভাপতি প্রয়াত মোঃ কামরুল গাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ। লস্কর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ আনারুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান মিথুন। গদাইপুর ইউনিয়নে সভাপতি সরদার ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত  মো: রবিউল ইসলাম, রাড়ুলী ইউনিয়নে সভাপতি মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাধারণ সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম। চাঁদখালী ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ আজম গাজী, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন টিক্কা। গড়ইখালী ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু গাজী করে ১০ ইউনিয়নে কমিটি গঠিত হয়। এরই মধ্যে অনেকেই মূলধারার রাজনীতি বিএনপির সাথে এবং অনেকেই পরলোকগমন করেছেন আবার কেউ কেউ আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে গেছেন। 

 

তবে ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি খুলনা জেলা যুবদল কর্তৃক পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক  কমিটি গঠণ করা হয়। যার আহবায়ক তৌহিদুজ্জামান মুকুল ও সদস্য সচীব ইমরান সরদার। প্রায় সাড়ে  ৩ বছর এ আহবায়ক কমিটির মেয়াদ হলেও তারা ইউনিয়নের কোন কমিটি দিতে পারেনি। ইউনিয়ন গুলোতে যুবদলের কোন অনুষ্ঠানও করতে পারেনি।  দীর্ঘ ২৩ বছররের মধ্যে কোন কমিটি না হওয়ায় নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে যুবদল নামে বিএনপির একটা অংগ সংগঠন আছে। 

 

এবিষয়ে উপজেলা  উপজেলা যুবদল সদস্য সচীব ইমরান সরদার বলেন, জেলার গ্রুপিং এর কারণে কমিটি গঠনের জন্য বারবার বলেও অনুমতি না পাওয়ায় ইউনিয়ন কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছি।

 

বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ডাঃ আব্দুল মজিদ বলেন, যুবদলের বর্তমান উপজেলা আহবায়ক কমিটির ব্যর্থতার কারণে ইউনিয়ন কমিটি করতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনের আগে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটির মাধ্যমে সকল ইউনিটি গঠন করা খুবই জরুরী।