নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জমায়াত আমিরের

জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা মাত্র। তাই বাতিলে রক্তচক্ষুকে ভয় পেলে চলবে না বরং সব বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দ্বীন বিজয়ের জন্য সবাইকে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রুকন সহ ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের নেতাকর্মীকে ময়দানে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মিরপুর-১৩ এর ৪ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল জোন জামায়াত যৌথ আয়োজিত রুকন শিক্ষাশিবির’২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহর নিজাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি লাভ ও জান্নাত হাসিল করতে ময়দানে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার ও প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালানো ঐচ্ছিক কোন বিষয়টি নয়; বরং প্রত্যেক মোমিনের ওপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। এটা কোন অবিশ্বাসী বা কাফিরের ওপর ফরজ করা হয়নি। মূলত, আমাদের জন্য ইসলামকেই জীবনবিধান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। আর কালামে হাকীমকে আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। মূলত, মোত্তাকীদের পথ পদর্শনের জন্যই পবিত্র কোরআন জীবন বিধান হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। আর যারা প্রকৃত পক্ষেই মোস্তাকি তারাই শুধু কোরআন থেকে লাভবান বা উপকৃত হতে পারে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে আল্লাহর বিধান ও রাসূল (সা.)-এর আদর্শের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রত্যেক মোমিনের জীবনোদ্দেশ্যই হচ্ছে দ্বীন। মোমিন জীবনের আর দ্বিতীয় কোন উদ্দেশ্য নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বাতিলের ওপর দ্বীনে হক্বকে বিজয়ী করার দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছিলেন। বিশ্বনবী (সা.)একই দায়িত্ব নিয়ে দুনিয়াতে এসেছিলেন। তার আসহাবগণও একই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সে ধারাবাহিকতায় তা এখন আমাদের ওপর বর্তেছে। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ওপরই জুলুম-নির্যাতন ছিল নিত্যসঙ্গী।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত ও কর্মপরিষদ সদস্য মুফতি ড. মাওলানা আবুল কালাম আযাদ বাশার প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: