আগামী নির্বাচনে যে সরকারই আসুক বিশাল বিপদে পড়বে: শামা ওবায়েদ

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৫ ১০:০৬ এএম

শামা ওবায়েদ

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ বলেছেন, এপ্রিল মাসে জনগণের ভোটের মাধ্যমে যেই সরকারই গঠন হোক না কেন, সেই সরকারকে একটি বিশাল বিপদের মধ্যে পড়তে হবে। কারণ তার এক মাস পর জুন মাস। ২০২৬ সালের বাজেট ঘোষণা করতে হবে।

সোমবার (৯ জুন) দাদা আতিকুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া গ্রামে অবস্থিত লস্করদিয়া আতিকুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশে নেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে গত বছর। তারপরও ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি, ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা দেখেছেন ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস মোটামুটিভাবে নির্বাচনের একটি তারিখ ঠিক করেছেন এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো একটা দিন হতে পারে।

তিনি বলেন, আজকে এপ্রিল মাসে আপনি নির্বাচন দিতে চাচ্ছেন, এটা বাস্তবসম্মত কিনা আমি ইউনূস সাহেবকে ও তার টিমকে ভেবে দেখতে বলব। কারণ ফেব্রুয়ারি মাসে যদি রমজান হয়, রমজান মাসে মানুষ রোজা নিয়ে মশগুল থাকে। রমজান মাসে ইলেকশনের ক্যাম্পেইন করা কতটুকু বাস্তবসম্মত সেটাও এই সরকারের ভেবে দেখতে হবে। তারপরে ঈদ। ঈদের পরে আপনারা নির্বাচন দিচ্ছেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, এপ্রিল মাস ঝড়বৃষ্টির মাস, বিভিন্ন পরীক্ষার মাস। সুতরাং বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন বাস্তবসম্মত কারণে এই মাসটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য, ভোটারদের জন্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিশেষ করে আমার মা-বোনদের জন্য ও ইয়াং জেনারেশনের জন্য সমীচীন হবে কিনা এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আবার ভেবে দেখতে হবে। আপনারা যেই নির্বাচন এপ্রিল মাসে দিতে পারবেন, সেই নির্বাচন আপনারা ফেব্রুয়ারি মাসেও দিতে পারবেন, রোজার আগেও দিতে পারবেন, জানুয়ারি মাসেও পারবেন। সবার যে দাবি ডিসেম্বর মাসে দিয়ে দিতেও কোনো সমস্যা নেই।

তিনি বলেন, জুলাই মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে আপনারা জুলাই সনদ দেবেন। বিএনপির তাতে কোনো সমস্যা নেই। বিএনপি তাতে কোনো মন্তব্য করেনি। আপনারা জুলাই সনদ দেন সকল মতামতের ভিত্তিতে। তারপরও ছয় মাস কেটে যায়।

শামা ওবায়েদ বলেন, এই ছয় মাসে আপনাদের ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ায় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এই উপদেষ্টারা, বিশেষ করে সংস্কার কমিশনের যারা প্রধান আছেন, উপদেষ্টারা আছেন, তারা বিভিন্ন তালবাহানা করছেন। ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন, ক্ষমতার স্বাদটা যত বেশি উপভোগ করা যায়। কিন্তু আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্বাচিত করতে চায়। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই, যোগাযোগ নেই।

তিনি বলেন, আমি সারা বাংলাদেশের কথা জানি না,বলতে পারি না, কিন্তু নগরকান্দা-সালথা ফরিদপুরের মানুষ ২০১৮ সালে নিশিরাতের নির্বাচন দেখেছেন, তারা নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছেন। আমার নগরকান্দা-সালথায় আমি নিজে শারীরিকভাবে আহত হয়েছি। আমার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে ভরেছিল হাসিনার ২০১৮ সালের তথাকথিত নির্বাচনের সময়।

সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা,যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, আফজাল হোসেন খান, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বাবুল তালুকদার,আলিমুজ্জামান সেলু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান প্রমুখ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর