কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ২২:০৪ পিএম

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বর হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় সোমবার দিনভর দফায় দফায় মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণি পেশার বিক্ষুব্ধ জনতা। এ প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়া বারিধারায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বর্বর হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় সোমবার দিনভর দফায় দফায় মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণি পেশার বিক্ষুব্ধ জনতা। এ প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়া বারিধারায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ডিপ্লোমেটিক জোনের নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন ও সিআইডির সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে।

বিশেষ করে নতুন বাজার সংলগ্ন বারিধারায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে বিকেল থেকে দূতাবাস এর আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। মার্কিন দূতাবাসের উত্তর পাশ দিয়ে গুলশান ২ নম্বর সার্কেলের দিকে যাওয়ার সড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এই সড়কে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাতে সশস্ত্র সেনা সদস্যরা মানব ঢাল তৈরি করে রেখেছেন।

ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। তবে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।

এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করে একদল শিক্ষার্থী। মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলটির সামনে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এর আগে সকাল থেকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন সেনা সদস্যরা।

সকাল থেকেই সেনাবাহিনী পুলিশ ও র‍্যাব দূতাবাসের সামনের সড়কের মানবপ্রাচীর তৈরি করে রাখেন। সকাল থেকেই কাউকেই ফুটপাতে বা রাস্তায় দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিক্ষোভ করছিলেন। তাঁরা গাজায় ইসরায়েলের নারকীয় হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছিলেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন, ‘আমরা কারা, তোমরা কারা ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ বলে স্লোগান দেন।

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ পর্যায়ক্রমে মার্কিন দূতাবাসের সামনে সড়কে অবস্থান নেন।

গুলশান জোনের ডিসি তারেক মাহমুদ জানিয়েছিলেন, ৩ বেলা সাড়ে ৩ টার পর দূতাবাসের সামনের সড়ক থেকে বিক্ষোভকারীরা চলে গেছেন। তারপরও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর