নির্বাচন কেমন হবে এটা নিয়ে প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:১২ পিএম

বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে এটা নিয়ে আমরা প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না মন্তব্য করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, এখন সামনে আমরা একটা ভালো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, এই মুহূর্তে তো আমাদের নসিহত করার তো কোন প্রয়োজন নেই।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সকালে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করা হয়েছে। গত রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে। এই পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে নাকি সম্পর্ক নতুন একটি ধাপে যাচ্ছে এই প্রশ্ন করা হয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সর্বশেষ যে বক্তব্য (ভারতের) এসেছে তাতে আমাদের নসিহত করা হয়েছে। সেটার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে এটা নিয়ে আমরা প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সরকার ডে ওয়ান থেকে স্পষ্টভাবে বলে আসছে যে আমরা অত্যন্ত উঁচু মানের মানুষ যেন ভোট দিতে যাই এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। যে পরিবেশ গত ১৫ বছর ছিল না। ভারত আমাদের এটা (নির্বাচন) নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে, এটাকে আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি। তারা (ভারত) জানে এর আগে গত ১৫ বছর যে সরকার ছিল, তাদের সঙ্গে (ভারতের) অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল। ওই সময় নির্বাচনগুলো যে প্রহসনমূলক হয়েছিল সে সময় তারা (ভারত) একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। এখন সামনে আমরা একটা ভালো নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, এই মুহূর্তে তো আমাদের নসিহত করার তো কোন প্রয়োজন নেই।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা কি করবো! আমরা এমন একটা নির্বাচন করবো যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারবে এবং যাদের ভোট দেবে (ভোটাররা) তারাই নির্বাচিত হবে। যেটা এর আগে গত ১৫ বছরে ঘটেনি। তো এই জিনিসটা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ এবং জোটও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছে। তাহলে তো তারাও ভারতের মতো নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছে বলা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টা কিন্তু এক রকম না। তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু যোগাযোগ সবসময় আছে এবং তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগে আছে। কারণ আমরা চাই যে, তারা এখানে তাদের অবজারভারদেরকে (নির্বাচন পর্যবেক্ষক) পাঠাক । সেটা কিন্তু এভাবে একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে যে আমাদের অবস্থানটাকে গ্রহণযোগ্য না। এই ধরনের কথাবার্তার পাশাপাশি বলা যে, এই রকম হতে হবে নির্বাচন। এই নসিহত আমরা গ্রহণ করতে পারি না। বিশেষত এই কারণে যে তাদের তো এই সেন্টিমেন্টটা দেখা যায়নি গত ১৫ বছর। হঠাৎ করে এটা কেন তারা চেয়ে বসলো!

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর