উপজেলা নির্বাচন চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ

দীর্ঘদিন ধরে শূন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের দাবীতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ হাতে পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবগত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে স্থানীয় সরাকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনার সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
জনস্বার্থে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকার পতনের পর গত বছরের ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে তাদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর পরে ১১ মাসের বিশী সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তাই এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে আইনজীবী আশরাফ উজ জামান জানান, বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের স্থানীয় জনগণ নানাবিধ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলা উন্নয়ন কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১১ মাস চলে গেলেও নির্বাচনের বিষয়ে কোন সাড়া শব্দ নেই।
আইনজীবী জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে না জানালে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে।
কোটা নিয়ে জুলাই আগেস্টে বৈষম্যবিরোধী গণ-আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের বিগত সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন।
জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার।
যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে সরকার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: