প্রজ্ঞাপন জারী সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।

আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হয়ে গেছে। আইন যেটা হয়েছে সেটা কার্যকর করার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এই প্রজ্ঞাপনের পর আওয়ামী লীগ কোনো ধরনের অস্থিরতার চেষ্টা করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”
এর আগে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত শনিবার (১০ মে) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই দিন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর ব্রিফিং করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে রাস্তায় রয়েছে এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে রাতভর অবস্থান এবং মিন্টো রোডের মোড়ে মঞ্চ তৈরি করে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা।
পরে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তারা ‘শাহবাগ ব্লকেড’ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: