দখল-দূষণমুক্ত হবে কক্সবাজারের নদী ও বনভূমি: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৪ এএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দ করা কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)-তে অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের বাকখালী নদীর তীরে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই না টানলে এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে। এটা হতে দেওয়া হবে না।

তিনি জানান, কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে, সেটিও বন্ধ করা হচ্ছে। ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ ২০ একর জমি ফেরত আনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫১ একর জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।

আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, পুলিশ সুপার সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতনরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর