মানুষের মন কাড়লেন মানবতার সেবক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১:৫২ পিএম

মানবতার সেবায় নিয়োজিত মানুষ সব সময় সমাজের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকেন। চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হয়েও সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেন, তাঁদের নাম মানুষের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকে। তেমনি একজন বিরল ব্যক্তিত্ব হলেন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
তিনি শুধু একজন চিকিৎসক নন, একজন সমাজসেবক, মানবতার সেবক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর হাত ধরে অসংখ্য অসহায় মানুষ জীবনের নতুন দিশা পেয়েছে। চিকিৎসা ও মানবসেবার পাশাপাশি তিনি শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নেও রেখেছেন অসামান্য ভূমিকা।
এক নার্সের সাফল্যের গল্প
এক অসহায় মেয়ের গল্প তাঁর মানবিকতারই প্রতিফলন। মেয়েটি একসময় আর্থিক সংকটে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছিল না, ভবিষ্যৎও অন্ধকার মনে হচ্ছিল। সেই সময় এগিয়ে আসেন ডা. জাহাঙ্গীর। তাঁর সহযোগিতায় মেয়েটি নার্সিংয়ে পড়াশোনা করে চাকরির সুযোগ পায়। বর্তমানে সে সৌদি আরবের একটি বিখ্যাত হাসপাতালে আইসিইউ নার্স হিসেবে কর্মরত।
হজ পালনকালে ডা. জাহাঙ্গীর মক্কায় অবস্থান করলে, সেই নার্স প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শুধুমাত্র তাঁর সাথে দেখা করতে আসেন। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি বলেন—
“স্যারের মতো মহান মানুষ না থাকলে আমি কখনো নার্স হতে পারতাম না, বিদেশে চাকরি করা তো দূরের কথা।”
হাজারো মানুষের পাশে
ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শুধু একজন নয়, শত শত মানুষকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অনেক বেকার তরুণকে চাকরি পেতে সহায়তা করেছেন। রাজশাহী ও উত্তরাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকায় তিনি বেশ কিছু হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ ও সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
মানুষ যখন তাঁর কাছে সাহায্য চেয়েছে, তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সহযোগিতা করতে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়েও তাঁর মধ্যে কোনো অহংকার নেই; বরং তিনি খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করেন। এই সরলতা ও মানবিক গুণাবলী তাঁকে আলাদা মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছে।
মানবসেবা থেকে রাজনীতির মঞ্চে
মানুষকে আরও বেশি সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এবার তিনি রাজশাহী সদর আসন থেকে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামি প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি দাঁড়ি-পাল্লা প্রতীক নিয়ে জনগণের সেবা করার অঙ্গীকার করেছেন।
তাঁর বিশ্বাস— “মানবসেবা হলো সবচেয়ে বড় ইবাদত, আর রাজনীতি হলো সেই সেবার বিস্তৃত ক্ষেত্র।”
মানুষের ভালোবাসায় অমর নাম
আজকের সমাজে যেখানে স্বার্থপরতা আর প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে, সেখানে ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের মতো মানুষরা মানবতার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
মানুষ তাঁকে মনে রাখবে এক কথায়—
“মানবতার সেবক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।”
এআরএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: