সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে সুচিকিৎসার নির্দেশ

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কামরুল ইসলামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফতাব মাহমুদ চৌধুরী বুধবার (২৮ মে) কামরুল ইসলামের ক্যানসারের পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম কারা কর্তৃপক্ষকে কামরুল ইসলামের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এদিন শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী আদালতকে বলেন, ২০১৭ সালে ক্যানসার আক্রান্ত হন কামরুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে সিঙ্গাপুরে তার অস্ত্রোপচার হয় ও রেডিও থেরাপি দেওয়া হয়। এরপর রেগুলার রুটিন চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করতেন তিনি। এখন কারাগারে আটক থাকায় তার বেশকিছু রোগের টেস্ট (পরীক্ষা) করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অসুস্থ হয়ে নিয়মিত তার ওজন কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কামরুল ইসলামের শারীরিক জটিলতার টেস্ট কেবল বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই করা সম্ভব। টেস্ট না করলে তাকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। চিকিৎসা দেওয়া না গেলে তিনি কারাগারে মারা যেতে পারেন।

পরে শুনানি শেষে কারা কর্তৃপক্ষকে সুচিকিৎসা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে গত সোমবার সকালে দুদকের এক মামলায় হাজিরা দিতে এসে হাজতখানার টয়লেটে পড়ে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এরপর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং মাথায় ব্যান্ডেজ লাগানো হয়। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড ভোগ করেন তিনি। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।