শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো তুরস্ক, ধসে পড়ল একাধিক ভবন
তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি (এএফএডি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল বালিকেসির প্রদেশের সিনদিরগি শহরে। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে এটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল প্রায় ৬ কিলোমিটার (৩.৭ মাইল)।
ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়। এসব আফটারশকে দেশটির ইস্তাম্বুল এবং নিকটবর্তী বুরসা, মানিসা এবং ইজমির প্রদেশে কম্পন অনুভূত হয়।
প্রাথমিকভাবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি, তবে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ধসে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে অন্তত তিনটি আবাসিক ভবন ও একটি দুইতলা দোকান রয়েছে।
বালিকেসিরের গভর্নর ইসমাইল উস্তাওগ্লু জানান, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই পড়ে গিয়ে বা দৌড়াতে গিয়ে আঘাত পান। সিন্দিরগির জেলা প্রশাসক দোগুকান কোয়ুনকু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবে আমরা এখনও ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছি।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হ্যাবেরতুর্ক জানায়, ভয় পেয়ে বহু মানুষ রাতভর বাড়ির বাইরে অবস্থান করেছেন। বৃষ্টিপাত শুরু হলে স্থানীয় প্রশাসন মসজিদ, স্কুল ও খেলাধুলার মাঠ খুলে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়।
সিন্দিরগিতেও অঞ্চলটি এর আগেও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গত আগস্টে সেখানে ৬.১ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পে একজন নিহত ও অনেকে আহত হন। সেই সময় থেকে বালিকেসির অঞ্চলে একাধিক ছোট কম্পন অনুভূত হচ্ছিল।
বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ তুরস্ক প্রধান ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থান করছে, যার ফলে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২০২৩ সালে দেশটিতে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি প্রদেশে লাখ লাখ ভবন ধসে পড়ে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই ঘটনায় পার্শ্ববর্তী সিরিয়ায় আরও ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: