নওগাঁয় আকস্মিক ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড

নওগাঁর পত্নীতলা, ধামইরহাট, মহাদেবপুর ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক ঝোড়ো হওয়া বয়ে গেছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে প্রায় আধা ঘণ্টার এই ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ফসলি জমি। সড়কে বহু গাছ উপড়ে পড়েছে।
বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকা বিদুৎহীন রয়েছে। বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ের সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি ও মেঘের গর্জনে চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে আকস্মিক আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় প্রবল বেগে ঝড়, সঙ্গে মেঘের গর্জন। এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। অসময়ে হঠাৎ এমন ঝড়-বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয় ঘরবাড়ি-দোকানপাট ও গাছপালা। বিশেষ করে পত্নীতলা উপজেলার মাতাজী, ভাবিচা মোড়, কাঁটাবাড়ি, মহাদেবপুর উপজেলার বিলশিকারী, দেওয়ানপুর, ধামইরহাট ও সদর উপজেলায়সহ কয়েকটি এলাকার লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে।
এদিকে নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে বসু (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রাব্বি বলেন, এমন ঝড় আগে দেখিনি। চোখের পলকে টিনের চাল উড়ে গেছে, গাছ উপড়ে এসে ঘরের ওপর পড়েছে। ঘর ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।
মাতাজি এলাকার দোকান মালিক শামসুল আলম জানান, এক মিনিটেই দোকানের টিন উড়ে গেল, মালামাল যা ছিল সব নষ্ট হয়ে গেছে।
বদলগাছীর কৃষক রানা হোসেন বলেন, আমার ৩০০ কলা গাছের মধ্যে ২৯৯টা ভেঙে গেছে, প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (পত্নীতলা) জানায়, ঝড়ের কারণে অনেক খুঁটি উপড়ে পড়ে গেছে। দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: