স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ দুই যুবদলকর্মীর

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২৫ ০৮:০৮ এএম

ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় নুরুল করিম বাবলু নামে এক রিকশাচালককে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবদলকর্মীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। রোববার ধর্ষণের ঘটনার সহযোগী রকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অভিযুক্তরা হলেন মাথিয়ারা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে যুবদলকর্মী কামরুল ইসলাম (৩৮) এবং জয়নাল আবেদীনের ছেলে যুবদলকর্মী মহিম (৩৫) ।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় তারা থাকেন। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় যুবদলকর্মী কামরুলের সহযোগী রকি কথা আছে বলে বাবলুকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে বাবলুর অবস্থা খারাপ বলে তার স্ত্রীকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তারা কলোনির পাশে একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে নিয়ে বাবলুর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে বাবলুকে মারধর করে মাদক দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে কামরুল, মহিন ও রকি ভয়ভীতি দেখিয়ে বাবলুর স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

বাবলু জানান, রাতভর বখাটেরা আমাকে আটকে রেখে মারধর এবং আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। আমার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী। আমি এর বিচার চাই।

মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম বলেন, আমি যুবদলের রাজনীতি করি। পুরো ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে সাজানো।

ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত বলেন, পাঁচগাছিয়ার মাথিয়ারায় কামরুল ও মহিম নামে যুবদলের বর্তমানে কোনো কর্মী নেই। তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শামছুজ্জামান জানান, পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে জড়িতরা পলাতক রয়েছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর