‘আ.লীগ ১৬ বছর ধরে হিন্দুদের ট্রামকার্ড বানিয়ে খেলেছে’

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০২৫ ১০:০৮ এএম

আওয়ামী লীগ ১৬ বছর ধরে হিন্দুদের ট্রাম কার্ড বানিয়ে খেলেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে মরিয়া ছিল এবং দফায় দফায় সফলও হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন আওয়ামী লীগের কাছে জিম্মি ছিল। তারা রাজনৈতিক যাতাকলে পিষ্ট হওয়ার ভয়ে ছিল। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা নামক এই অসুরের বিনাশ হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সীতাকুণ্ডে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ রোড হয়ে কেমতলা গজারিয়া দিঘির পাড়ে এসে শেষ হয়।

এতে বক্তারা বলেন, সীতাকুণ্ডের হিন্দুদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাতীর্থস্থান হলেও কখনোই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ও উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়নি আওয়ামী লীগ। সবসময় ট্রামকার্ড বানিয়ে খেলেছে ৷ অথচ আমরা দেখেছি ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সীতাকুণ্ডে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, মন্দির পাহারা দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী। সীতাকুণ্ড জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি রতন কুমার নাথের সভাপতিত্বে ও অমলেন্দু কনক এবং সুনন্দ ভট্টাচার্য সাগরের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী ভক্ত প্রদানন্দ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জুয়েল চক্রবর্তী, জিতেন্দ্রনাথ নাটু, মনোজ দেবনাথ, বাবুল শাস্ত্রী, গোপাল শর্মা, সুজন মল্লিক, পাপন কৃষ্ণ, মোহন পাল, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব সালেহ আহমদ, মোজাহের উদ্দিন আশরাফ, শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া, জিয়া উদ্দিন জিয়া, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কামরুল হাসান বাবলু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসলাম চৌধুরী বলেন, সীতাকুণ্ড হবে সম্প্রীতি অনন্য অঞ্চল। এই বাংলাদেশে সব নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এ দেশ সবার, এ দেশ সকলের। কোনো বৈষম্য নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। তিনি আরো বলেন, সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষেরা মিলে সীতাকুণ্ডে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য বন্ধন হিসেবে নজির স্থাপন করবো, যেন গোটা ভারত তাকিয়ে দেখে ঐতিহাসিক হিন্দুদের তীর্থস্থান সীতাকুণ্ডে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধদের সম্প্রীতি কতোটা মজবুত ও সুসংহত। আমরা সবাই মিলে আলোকিত সীতাকুণ্ড গড়ে তুলবো।

স্বামী ভক্ত প্রদানন্দ বলেন, প্রধান অতিথি অধ্যাপক আসলাম চৌধুরী এই অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে স্পর্শ করেছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক। এই অঞ্চলে সংকট মুহূর্তে সম্প্রীতির অনন্য নজির স্থাপন ছিল তারই ক্রেডিট। তিনি আছেন বলেই আমরা সাহসের সাথে সকল কাজ করছি।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোপাল শর্মা, সুজন মল্লিক, পাপন কৃষ্ণ, মোহন পাল, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব ছেসালেহ আহমদ, মোজাহের উদ্দিন আশরাফ, শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া, জিয়া উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কামরুল ইসলাম বাবলু, মহিদুল আলম আবির, রেজাউল করিম, মেহেদী হাসান, জিকো, শাকিল প্রমুখ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর