মুরাদনগরে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ধর্ষণ; বিচারের দাবিতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবাদে শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সহ বিভিন্ন হলে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী নিজেই মুরাদনগর থানায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৮) আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। ওই সময় ফজর আলী ঘরের বাইরে এসে দরজা খুলতে বলেন। ভুক্তভোগী দরজা না খুললে অভিযুক্ত কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগীর স্বামী গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, টাকা ধার নেওয়ার সূত্রে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের পরিচয় ছিল।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের দুটি টিম মাঠে রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াটা আইনগত অপরাধ। আমরা সেই ভিডিও ছড়ানোর উৎসও খতিয়ে দেখছি।’

এদিকে, অভিযুক্ত ফজর আলীর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়েও পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।