মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় সেলিনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৬ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার আধারা ইউনিয়নের দেওয়ান কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিনা বেগম ওই ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের গোলাম মস্তোফার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী সুজন মোল্লা (৪৩) একই ইউনিয়নের দেওয়ান কান্দি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, উভয়েরই এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজন মোল্লা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং নিয়মিতভাবে বাড়ি ফিরতেন না। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর ওপর পরকীয়ার সন্দেহ করতেন। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো, যা গড়াতো মারধরে। এক সপ্তাহ আগে ঝগড়ার জেরে সেলিনা বেগম বাবার বাড়িতে চলে যান। দুই গ্রামের মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি তিনি আবার স্বামীর বাড়ি ফেরেন। শুক্রবার রাতে ফের ঝগড়ার একপর্যায়ে সুজন মোল্লা চাপাতি দিয়ে স্ত্রী সেলিনা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে রাতেই টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত সুজন মোল্লাকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত সেলিনা বেগমের বোন শিল্পী আক্তার বলেন, বিয়ের পর থেকে বোনের জীবনে সুখ আসেনি। কথায় কথায় স্বামী মারধর করতো। এক সপ্তাহ আগে আমাদের বাড়ি চলে এসেছিল। মানুষের কথা ভেবে আবার ফিরে গেলো। শেষ পর্যন্ত তাকে পৃথিবী ছাড়তে হলো। আমরা এ হত্যার বিচার চাই। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন শনিবার (১৭ মে) সকালে সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, অভিযুক্ত সুজন মোল্লা বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী সেলিনা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
এসআই মিল্টন আরও বলেন, পরকীয়ার সন্দেহ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। স্ত্রীকে হত্যার পর সুজন নিজেও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। এজন্য নিজে বিষপান করেছিলেন, তবে ভাগ্যক্রমে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
LIMON
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: