দিপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:১২ এএম
আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৪১ এএম

ময়মনসিংহে পোশাক শ্রমিক দিপু চন্দ্রকে নৃশংস কায়দায় পুড়িয়ে হত্যা ও বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে তার কন্যা শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্ত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, দিপু চন্দ্রকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে আগুন দিয়ে উল্লাস করেছে তা আইয়ামে জাহেলিয়াতের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। কালবিলম্ব না করে শিশু আয়েশা ও দিপু চন্দ্রকে পুড়িয়ে হত্যা এবং জুলাই শহীদ ইশমামের ভাই মুহিবের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন ভূলন্ঠিত হওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। লজ্জা থাকলে ওনাদের এখনই দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিৎ। এছাড়াও সরকারের উচ্চপর্যায়ে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লীগের দোসরেরা পরিকল্পিতভাবে অসহযোগিতা করে পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিলে ঠেলে দিচ্ছে। কালবিলম্ব না করে এদেরকে চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

ঢাবি শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম যুবাহ বলেন, সারাদেশ যখন দেশের সার্বভৌমত্বের যোদ্ধা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নায়ক ওসমান হাদী ভাইয়ের শাহাদাতে মর্মাহত দেশ যখন একটা দুঃখজনক ক্রান্তিলগ্ন পার করছে ঠিক তখনি দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো বর্বর কাজে লিপ্ত হয়েছে।

এর দায় সম্পূর্ণ এই রাষ্ট্রের প্রশাসনের। আইন ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে পুনরায় কচুক্ষেত বা আধিপত্যবাদের কবলে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সুতরাং এখনো সময় আছে , আমাদের বোন আয়েশা ,ভাই দীপু হত্যার বিচার নিশ্চিত করুন। মুহিবের উপর হামলাকারীর বিচার নিশ্চিত ও প্রশাসন সংস্কার করুন অন্যথায় আমরা আন্দোলনের যত নৈতিক পথ রয়েছে সব করতে বাধ্য হবো।

ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন বলেন, সহিংসতা, আগুন-সন্ত্রাস ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আপসহীন। অপরাধীর পরিচয় যাই হোক না কেন, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনতে হবে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইন উপদেষ্টা এর দায় এড়াতে পারে না। আপনারা না পারলে পদত্যাগ করুন। হাদী ভাইয়ের হত্যার পর সহিংসতা বৃদ্ধির আসংকা বাড়ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কাওকেই যেন এভাবে প্রাণ হারাতে না হয়, সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর