কমিশন আমাদের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না: ছাত্রশিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২৫ ১৪:০৮ পিএম

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এসএম ফরহাদ বলেন, আমরা যে অভিযোগ দিচ্ছি নির্বাচন কমিশনের কাছে কিন্তু কমিশন আমাদের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না।

রোববার দুপুর ১২ টার সময় বিজনেস ফ্যাকাল্টির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই অভিযোগ করেন।

এসএম ফরহাদ বলেন, কোন কোন প্যানেলের প্রার্থীরা রিডিং রুমে গিয়েও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কমফোর্ট জোনে গিয়েও নির্বাচনের প্রচার করছে। এই প্রচারে শিক্ষার্থীরা বিরক্ত হচ্ছে। এই ধরনের অভিযোগ থাকার পরও ডাকসু নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের বিরুদ্ধে অনলাইন এবং অফলাইনে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। আমরা লক্ষ করছি কিছু প্রার্থী তাদের নিজেদের বিষয়ে কিছু না বলে আমাদের কেন ভোটা দেওয়া উচিত নয় এটা প্রচার প্রচারণা করছে। এটা স্পষ্ট আচরণ বিধির গুরুতর লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি আরো বলেন, গত ৫ আগস্টে জুলাই বিপ্লবের গণঅভ্যুত্থানে আমরা সবাই অর্থাৎ ছাত্রদল, শিবির, বাগছাস, ছাত্র অধিকারসহ সকলেই একসাথে আন্দোলন করেছি। আজকের ডাকসু নির্বাচন আমরা জুলাইয়ের শক্তিরা সবাই মিলেমিশে নির্বাচন করছি। যাদেরকেই শিক্ষার্থীরা নির্বাচিত করুক জুলাই জিতবে বলে বিশ্বাস করতে চাই। ছাত্র শিবির সারাদেশে ২০১০;১১ সাল থেকে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫/৭ শিবিরের নেতাকর্মীকে ঘুম করেছে এখন পর্যন্ত তাদের খুঁজে পাওয়া যায় নাই। ফ্যাসিবাদের প্রথম এবং প্রধান শত্রু ছিল ছাত্র শিবির। ছাত্র সংগঠন হিসেবে ফ্যাসিবাদীরা শুধুমাত্র ছাত্র শিবিরকেই নিষিদ্ধ করেছিল।

ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে ৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় তারা বলছেন, নির্বাচন হবে ৯ সেপ্টেম্বর কিন্তু তার আগে বিভিন্ন পরীক্ষা এবং অ্যাসাইনমেন্ট থাকায় এই উৎসবে ভাটা পড়েছে। অনেক প্রার্থীও ঠিক মতো প্রচার প্রচারণা করতে পারছে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই নির্বাচনের আগের সকল পরীক্ষা নির্বাচনের পরে নেওয়া হোক।

তিনি আরো বলেন, বিজনেস ফ্যাকাল্টির একমাত্র ডিজিটাল লাইব্রেরি ২০২৩ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সিড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় বসে পড়ালেখা করতে বাধ্য হচ্ছে। নির্বাচনে আমরা জয়ী হতে পারলে সর্বপ্রথম লাইব্রেরি সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ। ক্যান্টিনে খাবারের মূল্য শিক্ষার্থীদের নাগালের বাহিরে চলে গিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ক্যান্টিনে ভর্তুকি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্যানেলের বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

LIMON

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর